৬ মাস মাঠের বাইরে থাকবে মুস্তাফিজ..!

কাঁধের ইনজুরির অস্ত্রোপচারের জন্য আগামী ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। এ কাটার কিংয়ের অপারেশন কোথায় হবে, সেটা নিশ্চিত হবে আগামী সোমবার। তার অপারেশন হতে পারে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ায়। এখন পর্যন্ত খবর অনুযায়ী, এ স্লোয়ার-কাটার স্পেশালিস্টের অপারেশন ইংল্যান্ডে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সম্প্রতি ইংলিশ কাউন্টি সাসেক্সে খেলতে গিয়ে মাত্র দুই ম্যাচ পরই আবারো কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন মুস্তাফিজ। তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের সার্জন টনি কোচার। দুই দফা এমআরআই করানোর পর মুস্তাফিজের বাম কাঁধে অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন কোচার। এ ইংলিশ সার্জনও অপারেশন করতে পারেন তাকে।
তবে বিসিবি আরো ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে। এ বিষয়ে গতকাল বিসিবি মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা মুস্তাফিজের রিপোর্টগুলো ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের সার্জন কোচার ও ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির ফ্রাঙ্ক লেনার্ডকে দেখিয়েছি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সার্জন গ্রেগ হয়ের কাছেও তার রিপোর্টগুলো পাঠিয়েছি। মুস্তাফিজের অপারেশন করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে আগামী সোমবার।’
মুস্তাফিজের প্রথম এমআরআই রিপোর্টে কাঁধের অস্থিসন্ধির একটি অংশ সংক্ষেপে যেটিকে বলা হয় স্লাপ (সুপিরিয়র লাব্রাম অ্যান্টিরিয়র অ্যান্ড পোস্টেরিয়ার)। পরের রিপোর্টে জানা যায়, এটি টাইপ-২ ধরনের চোট। যেটার পূর্ণ চিকিত্সার জন্য অপারেশনই সবচেয়ে ভালো পথ। জালাল ইউনুসের ভাষায়, ‘অপারেশন ছাড়াও মুস্তাফিজের চিকিত্সা করা যেত। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে, সবার পরামর্শে বিশেষত চিকিত্সকদের পরামর্শে তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
মুস্তাফিজের অপারেশন নিয়ে ইংল্যান্ড না অস্ট্রেলিয়া— এ নিয়ে দোটানায় আছে বিসিবি। অস্ট্রেলিয়ান সার্জন হোয়ের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। এর আগে তামিম ইকবালের হাতের তালু ও এনামুল হক বিজয়ের কাঁধের অপারেশন করেন এ অস্ট্রেলীয় সার্জন। এ মুহূর্তে মুস্তাফিজকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানাের ঝক্কিও নেহায়েত কম নয়। সেক্ষেত্রে তাকে বাংলাদেশে এসে নতুন করে ভিসা নিতে হবে। আর এতে করে বেশ কিছুটা সময় চলে যাবে। তাই ইংল্যান্ডেই তার অস্ত্রোপচার করানোটাকে যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস জানান, ‘যেহেতু মুস্তাফিজ ইংল্যান্ডে আছে, সেখানকার চিকিত্সকরাই তার ইনজুরি বিশ্লেষণ করছেন। তাই তার অপারেশন ইংল্যান্ডে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ইসিবির কাছে আমরা জানতে চেয়েছি যে, কোচার ও ফ্রাঙ্কের মধ্যে কে ভালো হবেন? তারা যার কথা বলবেন, আমরা তার কাছে যেতে পারি।’
যেখানেই অপারেশন হোক না কেন, পাঁচ-ছয় মাসের আগে মুস্তাফিজের মাঠে ফেরা সম্ভব হবে না। যার অর্থ আগামী সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নিতে পারবেন না এ কাটার কিং। আগামী নভেম্বরে তার পক্ষে বিপিএলে অংশ নেয়াটাও কঠিন হয়ে পড়বে। তবে ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে মুস্তাফিজকে স্কোয়াডভুক্ত করতে চায় বিসিবি। আর এজন্যই তার দ্রুত অপারেশন করার ওপর জোর দিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট কর্ণধাররা।